বন্ধ করুন

ইতিহাস

অবিভক্ত খোয়াই ১৯১০ ইং -এ প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠা শুরু করে মহকুমা অধিকর্তা শ্রী ত্রিবেণী কুমার বর্ধন এর অধীনে। অবিভক্ত খোয়াই ছিল ত্রিপুরার ২য় বৃহত্তম মহকুমা এবং প্রথম ১০ টি মহকুমার একটি। এটি ২006 সালে খোয়াই ও তেলিয়ামুড়া নামে দুটি মহকুমায় বিভক্ত হয়। উত্তরে বাংলাদেশ, দক্ষিণে অমরপুর ও গন্ডাছড়া, পূর্বে কামলপুর ও আমবাসা এবং পশ্চিমে মোহনপুর এবং জিরানিয়া মহকুমা অবস্থিত।আঠারমুড়া পর্বত জেলাটির পূর্ব পাশ বরাবর চলছে এবং পশ্চিমাঞ্চলটি হাতাইকতর (পূর্বে বরমুড়া) রেঞ্জের সীমানাতে অবস্থিত। খোয়াই নদী, মুখ্য নদী যা থেকে জেলাটিও নাম হয় খোয়াই, আঠারমুড়া তার উৎস থেকে শুরু করে খোয়াই জেলার মধ্য দিয়ে যায়।

জেলা প্রশাসন ৬ টি ব্লক, ৩ টি রেভিনিউ সার্কেল এবং ১৯ টি তহশিল অফিস নিয়ে গঠিত। খোয়াই জেলা প্রশাসনের হেড কোয়ার্টার অফিস টিলা তে অবস্থিত। জেলাতে ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্র আছে ।

বাঙালি ও ত্রিপুরী উভয় জাতির জনগণ জেলাতে রয়েছেন, যারা মূলতঃ বাংলা এবং ককবরক দুই ভাষাতেই কথা বলেন। এখানকার প্রধান উৎসব হল দুর্গা পূজা, সরস্বতী পূজা, খার্চি ও গড়িয়া পূজা।

খোয়াই এর একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ইতিহাস রয়েছে এবং এটি সাক্ষরতার (জনশিক্ষা আন্দোলন) উপর জনগণের আন্দোলন এবং পাশাপাশি তিতুন প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্ছার তিন বোন কুমারী, মধুতী এবং রূপশ্রীর জন্যও সুপরিচিত। ত্রিপুরায় কুমারী দেববর্মা, রূপশ্রী দেববর্মা ও মাধুতি দেববর্মার স্মরণে প্রতি বছর ২8 মার্চ শহীদ দিবস পালিত হয়।

রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, স্বর্গীয় নৃপেন চক্রবর্তী এবং স্বর্গীয় দশরথ দেবও এই এলাকার-ই লোক ।